সারা বিশ্বের লাখো মানুষ বর্তমানে দুঃসহ ও জটিল রোগ হাঁপানি বা অ্যাজমা তে আক্রান্ত। যে কোন বয়সের মানুষে যেকোনো সময় এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীদের ফুসফুসের শ্বাসনালি সাধারণ লোকের তুলনায় অনেক বেশি স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। পুরোনো ধুলাবালিতে মাইট নামের এক ধরনের জীবাণু থাকে, যা অ্যাজমা বা হাঁপানির প্রধান কারণ। এ ছাড়াও ধোঁয়া, ময়লা, সাইনোসাইটিস, সর্দি, কাশি, তীব্র গন্ধযুক্ত সুগন্ধি ব্যবহার, বুকে আঘাত লাগা, ঠান্ডাজাতীয় খাবার খাওয়া, রাতে মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া, মানসিক উত্তেজনা, ধূমপান করার কারনেও এ রোগ হয়ে থাকে।
অ্যাজমা রোগীদের শুয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বসে থাকলে আরাম অনুভব হয়। অস্থিরতা বেড়ে যায়, গলার স্বরের পরিবর্তন হয়।হাঁপানি রোগীর বুকে প্রচুর কফ জমতে পারে। মাথাব্যথা হতে পারে।অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীর হাঁপানির সময় সর্দি হলে কাশির পরিমাণ বেড়ে যায়।কোনো কোনো অ্যাজমা রোগীর কোষ্ঠকাঠিন্য , লো প্রেসার দেখা দিতে পারে। অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী অ্যালার্জেনগুলো হলো-ফুলের রেণু, পুরোনো ধুলা, কোনো কোনো ফলমূল-শাকসবজি-খাদ্যদ্রব্য, দূষিত বাতাস ও ধোঁয়া, ধুলা, কাঁচা রঙের গন্ধ, ঘরের চুনকাম; ইস্ট-জাতীয় ছত্রাক যা দিয়ে তৈরি হয় পাউরুটি ও কেক; আলু ও পেঁয়াজ ছাড়া আরও নানা রকম খাদ্য যে ছত্রাক দ্বারা দূষিত হয়। এসব অ্যালার্জেন অ্যালার্জিক বিক্রিয়া করে হাঁপানি রোগের সৃষ্টি করে। যেসব পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও খাদ্যদ্রব্য অ্যাজমা বা হাঁপানি সৃষ্টি করতে পারে, তা পরিহার করা শ্রেয়।
মাইট নামের এক ধরনের জীবাণু অ্যাজমা বা হাঁপানির প্রধান কারণ। আর বিছানা, বালিশ ও আর্দ্রতাপূর্ণ আবহাওয়া হচ্ছে মাইট বেড়ে ওঠার যথার্থ পরিবেশ। অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগীদের প্রধানত দিনের চেয়ে রাতে শ্বাসকষ্টের পরিমাণ বেড়ে যায়। রাতের বেলায় বিছানায় শোবার সময় আমরা মাইটের সবচেয়ে কাছে আসি। মাইটের মল নিঃশ্বাসের সঙ্গে দেহে প্রবেশ করে অ্যালার্জিক সৃষ্টি করে, যা পরে অ্যাজমায় পরিণত হয়। এ রোগের তাৎক্ষণিক উপশমের জন্য কখনো কখনো ইনহেলার দিতে হয়। রোগীর এ্যাজমার কারন অনুন্ধান করে ঔষধ প্রয়োগ করলে হাঁপানি অবশ্যই ভালো হবে। কারন এ রোগ বিভিন্ন রোগীর বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে,বেশীর ভাগ লোকেরই এর্লাজির কারনে হাঁপানি হয়ে থাকে
Aralia Rec: গলায় বা বুকে সাঁই সাঁই শব্দ, সহজে ফেলতে পারে কিন্তু নিতে কষ্ট। শুতে পারেনা, সামনের দিকে ঝুঁকে থাকলে আরাম বোধ।
Aspidosperma: হৃতপিন্ড সংক্রান্ত হাঁপানী (Cardiac Asthma) রোগের প্রধান ঔষধ। সামান্য পরিশ্রমে কষ্ট। অন্যান্য হাঁপানিতেও কার্যকরী। Q শক্তি উপকারী।
Yerbasanta /Jerbasanta: হাঁপানীর অন্যতম ফলপ্রদ ঔষধ। Q শক্তি উপকারী।
Blatta Ore: হাঁপানী কাশির অন্যতম ঔষধ। Q শক্তি কার্যকরী।
Arsenic Alb: হাঁপানির সাথে ছট্ফটানি মৃত্যুভয় পিপাসা অন্তর্দাহ, গলায় সাঁই সাঁই শব্দ। রাত ১২টা থেকে ২ টায় শ্বাসকষ্ট বাড়ে। ৩০-২০০ শক্তি।
বায়োকেমিকঃ B.P-2
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন