শিশুরা জন্মগ্রহণ করেই কাঁদে। এর পর খিদে পেলে বা আপনজনকে কাছে না পেলে কিংবা শারীরিক সমস্যার কারণে যখন-তখন কাঁদতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত কান্না তখনই বলা হয়, যদি কোনো শিশু সপ্তাহে অন্তত তিন দিন দিনে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কান্নাকাটি করে। চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে অধিকাংশ শিশুই এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠে।
কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে এই অতিরিক্ত কান্নার প্রবণতা সর্বাধিক। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এমন কান্নার কারণ অজানা হলেও শিশু-চিকিৎসকেরা এর নাম দিয়েছেন ইনফ্যান্ট কলিক। ধারণা করা হয়, অজানা কারণে পেট ব্যথার জন্যই এই কান্না।
প্রতি ছয়টি পরিবারের মধ্যে একটি পরিবার তাদের শিশুটির এমন কান্না নিয়ে বিপদে পড়ে থাকে। বলা হচ্ছে, কোনো বিচিত্র কারণে অন্ত্রের সংকোচন, পেটে গ্যাস বা ল্যাকটোজ অ্যালার্জি এই কান্নার কারণ হতে পারে। এটি স্বাভাবিক কান্নাও হতে পারে, যা অনেক সময় অভিভাবকেরা অতি সচেতনতা বা অতি দুশ্চিন্তার কারণে বেশি বলে ভাবছেন। মায়ের দুধ খাওয়া শিশুদের ক্ষেত্রে এমন কান্না কম হয়। কিন্তু ফর্মুলা তোলা দুধ খাওয়া শিশুরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়।
শিশুর দিন-রাতব্যাপী এই অসহনীয় ও ক্রমাগত কান্না প্রতিরোধ করতে গ্রাইপ ওয়াটার, বেশি কোলে রাখা, ম্যাসাজ, লো-ল্যাকটোজ দুধ ইত্যাদি অনেক কিছুই চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোনোটারই বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
চিকিৎসা-
Chamomilla: শিশু কেবলি ঘ্যানঘ্যান প্যানপ্যান করে, রাগী, জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলে। কোলে নিয়ে বেরালে শান্ত কোল থেকে নামালেই কান্নাকাটি। ৬-৩০ শক্তি।
Jelapa: দিবা-রাত্রি সারাক্ষনই কাঁদে, দিন অপেক্ষা রাতেই বেশী কাঁদে। ইনফ্যান্ট কলিক বা শিশুদের পেটের গোলযোগহেতু (কোষ্ঠকাঠিন্য, উদরাময়) কান্নাকাটি। ৬-৩০ শক্তি।
Psorinum: শিশু নোংরা থাকে, নাকে সর্দি, কানে পুঁজ, প্রস্রাব পায়খানায় ভীষণ দুর্গন্ধ। ৩০-২০০ শক্তি উপকারী।
বায়োকেমিক- Ferrum Phos, Nat.Phos, Kali Phos 6x শক্তি শিশুর যে কোন কান্নায় কার্যকরী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন