মাথাব্যথায় কে না ভোগে? মাথাব্যথার উৎস মাথা হতে পারে, নাও হতে পারে। আন্তর্জাতিক হেডেক সোসাইটির মতে, মাথাব্যথা দুই ধরনের: প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি। প্রাইমারি মানে মাথাব্যথাটাই যখন রোগ। আর সেকেন্ডারি হলো মাথাব্যথা যখন অন্য কোনো রোগের উপসর্গ মাত্র। প্রাইমারি মাথাব্যথার রোগীর সংখ্যাই বেশি। আর এর মধ্যে প্রথম হলো টেনশনজনিত মাথাব্যথা, দুই নম্বরে আছে মাইগ্রেন। কিন্তু আপনার মাথাব্যথা যে টেনশনজনিত, অন্য কোনো গুরুতর কারণে নয়, তা কীভাবে বুঝবেন!
মাথাব্যথার সাধারণ লক্ষণঃ
১। মাথার চারপাশে ও ঘাড়ের পেছনে চাপ অনুভূত হওয়া।
২। ব্যথার তীব্রতা মৃদু থেকে মধ্যম মাত্রার।
৩। মাথার দুই পাশে ভোঁতা একটা ব্যথা অনুভূত হয়।
৪। মাথার বমিভাব, আলোভীতি, শব্দভীতি থাকে না।
৫। মাথার মাথাব্যথা আধা ঘণ্টা থেকে সাত দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
৬। মাথার বছরে ১০-১২ বার হতে পারে।
৭। মাথার ব্যথা দীর্ঘদিন ধরে হলে ঘুমের সমস্যা, মাথা ঘোরা, মনোযোগ কমে যাওয়া, ক্লান্তিভাব দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা-
Belladona: সর্দি বসে গিয়ে মাথাব্যথা, মস্তিস্কে রক্তাধিক্য, মাথা গরম, কপালের দু’পাশের শীরায় দপ দপ করা ব্যথা, চোখ মুখ লালচে।
Bryonuia Alb: মাথা ধরা বা ব্যথা নড়াচড়া এবং কথা বললে বৃদ্ধি পায়। ভোগকাল অনুযায়ী নিম্ন শক্তি থেকে পর্যায়ক্রমে উচ্চশক্তি।
Spigelia: সাধারণত বাম দিকের মাথাব্যথাতে বেশি ফলপ্রদ। মাথার পশ্চাৎভাগ থেকে ব্যথা শুরু হয়ে চোখের দিকে চলে আসে। সকালে ব্যথা উঠে সূর্য বাড়ার সাথে সাথে ব্যথা বাড়ে, সন্ধ্যায় সেরে উঠে। ৩০-২০০ শক্তি উপকারী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন