ডিপথেরিয়াতে সাধারণত আমাদের দেশের বাচ্চারাই বেশি আক্রান্ত হয় তবে বড়রাও এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে৷ করাইনিব্যাকটেরিয়াম ডিপথেরি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এ রোগ হয়৷ এ জীবাণুটি গলা এবং উপরের শ্বাসনালীকেই বেশি আক্রমণ করে৷ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কমে যায় সাধারণত তাদের ক্ষেত্রে ক্ষত স্থান, চোখের কনজাংটিভা, জননাঙ্গ ইত্যাদি স্থানও আক্রান্ত হতে পারে৷ অনেক উন্নত দেশে এরোগ নিমূল করা সম্ভব হয়েছে টিকা দান কর্মসূচির মাধ্যমে৷ কিন্তু আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশ গুলোতে এরোগের প্রকোপ এখনও অনেক বেশি ৷
ডিপথেরিয়া রোগের কারণ
ক্ষুদ্র এক প্রকার জীবাণু ডিপথেরিয়া রোগাক্রান্ত শিশুর হাঁচি কাশির মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। ঐ জীবানু যখন সুস্থ শিশুর শরীরে প্রবেশ করে তখন এই রোগ দেখা দিতে পারে।
জীবাণুর নামঃ করিনেব্যাকটেরিয়াম ডিপথেরী (Corynebacterium diptherae) ব্যাকটেরিয়া।
ডিপথেরিয়া রোগের লক্ষণ
১-৩ দিন:
১। শিশু খুব সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে
২। ঠিকমতো খায় না এবং খেলাধুলা করে না
৩। শিশুর জ্বর, সর্দি ও কাশি দেখা দেয়
৪। গলা ফুলে যায় এবং কন্ঠনালী বা গলদেশের ভিতরে সরের মত সাদা আস্তরণ পড়ে।
৪-৬ দিন:
১। শিশু খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে
২। কন্ঠনালীর গ্রন্থিগুলি খুব বেশী ফুলে যায়
৩। কন্ঠনালীতে ধুসর রং এর সুস্পষ্ট আস্তর পড়ে
৪। আস্তরটি শ্বাসনালীতে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি করে।
ডিপথেরিয়া রোগের ভয়াবহতা
এ রোগ হৃৎপিন্ড এবং স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রান্ত করতে পারে এবং শিশুর মৃত্যু ঘটাতে পারে।
Phytolocca: শীত শীত ভাব, অত্যন্ত দুর্বল, গলার ভেতর লালচে, জ্বালাপোড়া। সারা দেহে বেদনা, ঢোক গিলতে কষ্ট, গরম খাদ্য খেতে পারেনা। ৬-৩০ শক্তি উপকারী। Q শক্তি গরম জলে মিশিয়ে গরগিল করা যেতে পারে।
Apis Mel: গলার ভেতর থলির মত ফোলা। হুল ফুটানো ব্যথা। পানাহার কষ্টকর, চোখের নিচের পাতা ফোলা, নাড়ির গতি দ্রুত। ৬-৩০ শক্তি ফলপ্রদ।
Diptherinum: শুরুতেই ভয়াণক আকার ধারণ করে, দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে, জিহ্বা লাল, গলা ফোলে নাক দিয়ে রক্তস্রাব। খাদ্যদ্রব্য গিলতে গেলে নাক দিয়ে বেরিয়ে আসে। ২০০ শক্তি উপকারী।
বায়োকেমিকঃ
Kali Mur ও Kali Phos 6x শক্তি অমোঘ।