হাম ভাইরাস জনিত একটি রোগ। জার্মান মিজলস নামেও পরিচিত হাম। ঠিক মতো এ রোগের চিকিত্সা না করা হলে রোগী নানা জটিলতায় পড়তে পারে। তবে হাম সম্পূর্ণ প্রতিরোধযোগ্য। শিশুরাই হামে বেশি আক্রান্ত হয় বলে এক বছর থেকে ১৮ মাস বয়সী শিশুদের হামের ভ্যাকসিন দেওয়া যায়।
শিশুদের মতো বড়দেরও হাম হতে পারে। তাই এখন হামের প্রতিষেধক হিসেবে বড়দের জন্যও আছে ‘এম,এম, আর’ভ্যাকসিন। এ ভ্যাকসিন দেওয়া না থাকলে হাম হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। তবে সাধারণত একবার হাম হলে দ্বিতীয়বার আর এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তবে সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে, কেননা হাম ছোঁয়াচে।
হাম হলে প্রথমে জ্বর হয় ও শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে বা হালকা ব্যথা লাগে। প্রথম এক-দুই দিন অনেক তীব্র জ্বরও হতে পারে। চোখ-মুখ ফুলে উঠতে পারে। চোখ লাল হয়ে যেতে পারে, চোখ দিয়ে পানি পড়তে পারে। নাক দিয়ে পানি পড়তে পারে এবং হাঁচিও হতে পারে। শরীরে র্যাশ বা ছোট ছোট লালচে গুটি/ফুসকুড়ি দেখা দেয় এবং দ্রুতই তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ সময় বিশেষত শিশুরা কিছুই খেতে চায় না এবং ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়ে।
হাম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সাধারণত তিন দিনের চিকিৎসাতেই এই রোগের জ্বর ভালো হয় এবং সাত দিনের মধ্যেই হামে আক্রান্ত রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে। হামে আক্রান্ত রোগীকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। আর একটু পর পর ভেজা তোয়ালে/গামছা বা নরম কাপড় দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিতে হবে। রোগীর বেশি জ্বর হলে বমিও হতে পারে। তবে এতে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। এ ক্ষেত্রে ওষুধ খেতে হবে প্রচুর জল পান এবং ঠান্ডায় থাকতে হবে।
চিকিৎসা-
Aconite Nap: অস্থিরতা, ছটফটানি, কাশি, প্রবল জ্বর, ঘন ঘন পিপাসা ইত্যাদি লক্ষন থাকলে। ৩x শক্তি উপকারী।
Belladona: প্রবল জ্বর, মুখমন্ডল চোখ লাল, অল্প ঘাম, ঘুম ভাব এবং বার বার চমকে উঠে। ৩x-৬ শক্তি উপকারী।
Gelsemium: জ্বর ও সর্দি, নাক দিয়ে কাঁচা জল পড়ে, হাঁচি, শুষ্ক কাশি, অবসন্ন/আচ্ছন্ন ভাব। চুপচাপ শুয়ে থাকে, নড়াচড়া করতে ইচ্ছে করেনা। ১x-৩x শক্তি।
Antim Tart: হাম পূর্ণ প্রকাশিত না হয়ে/ চাপা পড়ার কারণে জ্বর কাশি বুকে কফ্, গলায় সাই সাই ঘড় ঘড় শব্দ, শ্বাসকষ্ট, আচ্ছন্ন ভাব, মাঝে মাঝে উত্তেজিত হয়ে কাঁদে। ৩x-৬ শক্তি ফলপ্রদ।
Morbilinum: হামের প্রতিষেধক। ২০০ শক্তি সপ্তাহে ২বার সেব্য।
বায়োকেমিকঃ
B.P-14 অথবা Ferrum Phos, Kali Mur 6x একত্রে সেব্য।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন