মাইগ্রেইন বর্তমানে একটি পরিচিত রোগ। সাধারণত ১৫-২২ বছরের মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। প্রধানত দুই ধরনের মাইগ্রেইন হয়ে থাকে ১)ক্লাসিক্যাল মাইগ্রেইন এবং ২) সাধারণ মাইগ্রেইন।
ক্লাসিক্যাল মাইগ্রেইনঃ
ক্লাসিক্যাল মাইগ্রেইন ১৫%% রোগীদের হয়ে থাকে। এই রোগী মাথা ব্যথার সময় আঁকা বাঁকা লাইন, তাঁরা, ডট ইত্যাদি দেখতে পায়। কিন্তু এইসব রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম। ৩৪%%-৫১%% মাইগ্রেইন বংশগতভাবে হয়ে থাকে।
সাধারণ মাইগ্রেইনঃ
সাধারণ মাইগ্রেইনের রোগীদের মাথার একপাশ অথবা উভয়পাশে ব্যথা হয়। বমি বমি ভাব হয়। এই মাইগ্রেইন ব্যথা ৩দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে।
মাইগ্রেইন এর চিকিৎসাঃ
মাইগ্রেইন এর চিকিৎসা আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে করতে পারি। আদার রস মাইগ্রেইন রোগীর জন্য খুবী উপকারী। Peppermint, Lavender oil ও আমরা ব্যবহার করতে পারি এর জন্য। তুলসী পাতার রস, ভিটামিন B12 যুক্ত খাবার, শস্য, ডিমের কুসুম, মাশরুম, পালঙ্ক শাক, মাছের তেল যেমন COD LIVER মাইগ্রেইন রোগীর জন্য উপকারী।
Iris Ver: মাথার যন্ত্রণা শুরুর আগে চোখ জ্বলে। পিত্ত বমন বা বমির ভাব। ডানপাশের চোখসহ ব্যথা করতে থাকে। ৩০-২০০ শক্তি।
Lycopodium: মাথার ডানপাশ থেকে যন্ত্রণা শুরু হয়, মনে হয় যেন চার পাশের সবকিছু ঘুরছে তজ্জন্য অস্পষ্ট দর্শণ, মনোযোগ দিয়ে দেখতে গেলে মাথাব্যথা বাড়ে। ৩০-২০০ শক্তি।
Nat.Mur: পাগল করা দপদপানি মাথাব্যথা, গরম ও নড়াচড়ায় বৃদ্ধি। রোগাক্রমণের পূর্বে নাক, ঠোঁট, জিহ্বা অসাঢ় বোধ। লবন প্রিয়। ৩০-২০০ শক্তি।
Pulsetilla: সন্ধ্যায় বা নির্দিষ্ট একটি সময়ে মাথাব্যথা দেখা দেয়। গুরুপাক আহার বা চর্বি জাতীয় খাবার খেয়ে মাথাব্যথা। প্রচন্ড যন্ত্রণায় রোগী কাঁদতে থাকে, মনে হয় যেন মাথা ফেটে যাবে। ৩০-১এম শক্তি অব্যর্থ।
Olium Jac: এই ঔষধটি COD LIVER থেকে প্রস্তুত। স্ক্রুফুলা ধাতুর রোগী যাদের গ্লান্ডের অসুখ আছে এবং আয়োডিনের ঘাটতি আছে। 1x-3x শক্তি সেব্য।
Spigelia: ডান চোখের উপর খোঁচা মারা বা দপদপানি ব্যথা। মাথার যে পাশে ব্যথা সে পাশের চোখ দিয়ে জল পড়ে। সকালে ব্যথা উঠে সূর্য বাড়ার সাথে সাথে ব্যথা বাড়ে, সন্ধ্যায় সেরে উঠে। শব্দ ও নড়াচড়ায় বেদনার বৃদ্ধি। ৩০-২০০ শক্তি উপকারী।
Thuja Occ: মাথায় পেরেক ফুঁটানোর মত তীক্ষ্ণ ব্যথা। ৩০-২০০শক্তি ফলপ্রদ।
বায়োকেমিকঃ BP-12 উপকারী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন