করণীয় কিছু ঘরোয়া টিপস
গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে প্রাথমিকভাবে কিছু সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন:
* জোরে কাশি দেওয়া: প্রথমেই কয়েকবার
জোরে কাশি দেওয়ার চেষ্টা করুন। অনেক সময় কাশির দমকে ছোট কাঁটা বেরিয়ে আসে।
* ভাত/কলা/মুড়ি গিলে ফেলা:
* ভাত: এক মুঠো নরম ভাত বা সিদ্ধ
চালের ভাত চিবানো ছাড়া ছোট বলের মতো করে একবারে গিলে ফেলার চেষ্টা করুন। ভাতের পিচ্ছিল
ভাব এবং ওজন কাঁটাকে নিচের দিকে ঠেলে দিতে সাহায্য করতে পারে।
* কলা: একটি পাকা কলার বড় অংশ কামড়ে
নিয়ে অল্প চিবিয়ে গিলে নিন। কলার পিচ্ছিল ভাব কাঁটাকে টেনে নামিয়ে দিতে পারে।
* মুড়ি: শুকনো মুড়ি কিছু মুখে
নিয়ে অল্প চিবাতে পারেন এবং এরপর পানি দিয়ে গিলে ফেলুন।
* অলিভ অয়েল পান: ১-২ চামচ অলিভ অয়েল
পান করতে পারেন। অলিভ অয়েলের পিচ্ছিল গুণ গলার পথকে মসৃণ করে কাঁটা নেমে যেতে সাহায্য
করে।
* লেবু ও লবণ মিশ্রিত পানি: হালকা
গরম পানিতে সামান্য লেবুর রস ও লবণ মিশিয়ে ধীরে ধীরে পান করুন। লেবুর অ্যাসিডিক গুণ
এবং লবণের দ্রবণ কাঁটাকে নরম করতে সাহায্য করতে পারে।
* ভিনেগার মেশানো পানি: সামান্য ভিনেগার
এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে পান করুন। ভিনেগারের অ্যাসিডিক প্রভাবও কাঁটাকে নরম করে গিলে
ফেলতে সাহায্য করতে পারে।
* গরম লবণ পানি দিয়ে গার্গল: হালকা গরম লবণ পানি দিয়ে গার্গল করলে গলার অস্বস্তি কমতে পারে এবং ছোট কাঁটা বেরিয়ে আসতে সাহায্য করতে পারে।
যখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া জরুরি
যদি উপরোক্ত ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো কাজ না করে বা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা যায়,
তাহলে দেরি না করে অবিলম্বে একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত
* তীব্র ব্যথা: যদি কাঁটা বিঁধে খুব
বেশি ব্যথা হয় বা ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
* খাবার বা পানি গিলতে অসুবিধা: খাবার বা পানি গিলতে মারাত্মক অসুবিধা হলে।
* দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকা: যদি ২৪ ঘণ্টার
বেশি সময় ধরে কাঁটা গলায় আটকে থাকার অনুভূতি হয়।
অনেক সময় কাঁটা বের হয়ে গেলেও গলায় আঁচড়ের কারণে কাঁটা আটকে থাকার মতো
অনুভূতি হতে পারে। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া নিরাপদ।
মাছ খাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন এবং ছোট ছোট টুকরা করে ধীরে ধীরে খান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন