যক্ষ্মা বা যক্ষা (ইংরেজি: Tuberculosis, টিউবার্কিউলোসিস্ বা টিবি) একটি সংক্রামক রোগ যার কারণ মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস (Mycobacterium tuberculosis) নামের জীবাণু (Pathogen)।
যক্ষ্মা শব্দটা এসেছে রাজক্ষয় থেকে। ক্ষয় বলার কারণ এতে রোগীরা খুব শীর্ণ (রোগা) হয়ে পড়েন।
যক্ষ্মা প্রায় যেকোনও অঙ্গে হতে পারে (ব্যতিক্রম কেবল হৃৎপিণ্ড, অগ্ন্যাশয়, ঐচ্ছিক পেশী ও থাইরয়েড গ্রন্থি)। যক্ষ্মা সবচেয়ে বেশী দেখা যায় ফুসফুসে। গরুর দুধ পাস্তুরায়ণ প্রচলনের আগে অন্ত্রেও অনেক বেশী হত।
ফুসফুসে যক্ষ্মা হলে হাল্কা জ্বর ও কাশি হতে পারে। কাশির সঙ্গে গলার ভিতর থেকে থুতুতে রক্তও বেরোতে পারে। মুখ না ঢেকে কাশলে যক্ষ্মা সংক্রমণিত থুতুর ফোঁটা বাতাসে ছড়ায়। আলো-বাতাসহীন অস্বাস্থ্যকর বদ্ধ পরিবেশে মাইকোব্যাক্টেরিয়াম অনেকক্ষণ বেঁচে থাকে।
সাধারনত-- -তিন সপ্তাহের বেশি কাশি
-জ্বর
-কাশির সাথে কফ এবং মাঝে মাঝে রক্ত বের হওয়া
-ওজন কমে যাওয়া
-বুকে ব্যথা, দুর্বলতা ও ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি ফুসফুসের যক্ষার প্রধান উপসর্গ।
যক্ষা ফুসফুস থেকে অন্যান্য অঙ্গেও ছড়িয়ে পরতে পারে বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। তখন একে অ-শ্বাসতন্ত্রীয় যক্ষা (Extrapulmonary Tuberculosis) বলা হয়, যেমন প্লুরাতে প্লুরিসি, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে মেনিনজাইটিস, লসিকাতন্ত্রে স্ক্রফুলা, প্রজনন তন্ত্রে প্রজনন তন্ত্রীয় যক্ষা, পরিপাক তন্ত্রে পরিপাক তন্ত্রীয় যক্ষা এবং অস্থিকলায় পটস ডিজিস। বিশেষ ধরনের ছড়িয়ে যাওয়া যক্ষাকে বলা হয় মিলিয়ারী যক্ষা (Miliary tuberculosis)। অনেক ক্ষেত্রে ফুসফুসীয় এবং অ-ফুসফুসীয় যক্ষা একসাথে বিদ্যমান থাক্তে পারে। পৃথিবীর যক্ষ্মা রোগীদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশী (প্রায় অর্ধেক) ভারতীয় উপমহাদেশবাসী। জীবাণু শরীরে ঢুকলেই সবার যক্ষ্মা হয় না। যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ক্ষেত্রে যক্ষ্মা বেশি হয়|
বাতাসের মাধ্যমে যক্ষা রোগের জীবাণু ছড়ায়। যক্ষা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে রোগের জীবাণু বাতাসে গিয়ে মিশে এবং রোগের সংক্রমণ ঘটায়।
চিকিৎসা-
Tuberculinum: বংশগত কারণে যক্ষা। অল্পতেই সর্দি কাশি, পুষ্টিকর আহার সত্বেও স্বাস্থ্যহানি, বিষন্নতা, সারাক্ষন মন মেজাজ খারাপ থাকা। ২০০- পর্যায়ক্রমে উচ্চশক্তি।
Phosphorus: লম্বাটে দেহ, সুন্দর চেহারা, হাঁটার সময় সামনে ঝুকে চলে। শীতকাতর কিন্তু ঠান্ডা পানীয় পানের ইচ্ছা- এমন ধাতুর রোগীদের যক্ষা। ৩০-২০০ শক্তি উপকারী।
Stannum Met: হার্টের সমস্যা আছে, উচ্চস্বরে কথা বললে বা হাসলে কষ্টবোধ। কাশির সাথে মিষ্টি স্বাদের শ্লেষ্মা। শেষ রাতে ঘাম হয়। ৩০-২০০ শক্তি।
Kali Iod: বদমেজাজী, গরমকাতর ও ঠান্ডা-সর্দির প্রবণতা এমন ধাতুর রোগীদের আপেক্ষিক কাশি। রাত ৩-৫টা এসময় কাশির বৃদ্ধি। ৩০-২০০ শক্তি ফলপ্রদ।
বায়োকেমিক-
Ferrum Phos, Kali Phos, Kali Sulp, Cal.Phos ঔষধগুলি একসাথে সেব্য।
যক্ষ্মা শব্দটা এসেছে রাজক্ষয় থেকে। ক্ষয় বলার কারণ এতে রোগীরা খুব শীর্ণ (রোগা) হয়ে পড়েন।
যক্ষ্মা প্রায় যেকোনও অঙ্গে হতে পারে (ব্যতিক্রম কেবল হৃৎপিণ্ড, অগ্ন্যাশয়, ঐচ্ছিক পেশী ও থাইরয়েড গ্রন্থি)। যক্ষ্মা সবচেয়ে বেশী দেখা যায় ফুসফুসে। গরুর দুধ পাস্তুরায়ণ প্রচলনের আগে অন্ত্রেও অনেক বেশী হত।
ফুসফুসে যক্ষ্মা হলে হাল্কা জ্বর ও কাশি হতে পারে। কাশির সঙ্গে গলার ভিতর থেকে থুতুতে রক্তও বেরোতে পারে। মুখ না ঢেকে কাশলে যক্ষ্মা সংক্রমণিত থুতুর ফোঁটা বাতাসে ছড়ায়। আলো-বাতাসহীন অস্বাস্থ্যকর বদ্ধ পরিবেশে মাইকোব্যাক্টেরিয়াম অনেকক্ষণ বেঁচে থাকে।
সাধারনত-- -তিন সপ্তাহের বেশি কাশি
-জ্বর
-কাশির সাথে কফ এবং মাঝে মাঝে রক্ত বের হওয়া
-ওজন কমে যাওয়া
-বুকে ব্যথা, দুর্বলতা ও ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি ফুসফুসের যক্ষার প্রধান উপসর্গ।
যক্ষা ফুসফুস থেকে অন্যান্য অঙ্গেও ছড়িয়ে পরতে পারে বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। তখন একে অ-শ্বাসতন্ত্রীয় যক্ষা (Extrapulmonary Tuberculosis) বলা হয়, যেমন প্লুরাতে প্লুরিসি, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে মেনিনজাইটিস, লসিকাতন্ত্রে স্ক্রফুলা, প্রজনন তন্ত্রে প্রজনন তন্ত্রীয় যক্ষা, পরিপাক তন্ত্রে পরিপাক তন্ত্রীয় যক্ষা এবং অস্থিকলায় পটস ডিজিস। বিশেষ ধরনের ছড়িয়ে যাওয়া যক্ষাকে বলা হয় মিলিয়ারী যক্ষা (Miliary tuberculosis)। অনেক ক্ষেত্রে ফুসফুসীয় এবং অ-ফুসফুসীয় যক্ষা একসাথে বিদ্যমান থাক্তে পারে। পৃথিবীর যক্ষ্মা রোগীদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশী (প্রায় অর্ধেক) ভারতীয় উপমহাদেশবাসী। জীবাণু শরীরে ঢুকলেই সবার যক্ষ্মা হয় না। যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ক্ষেত্রে যক্ষ্মা বেশি হয়|
বাতাসের মাধ্যমে যক্ষা রোগের জীবাণু ছড়ায়। যক্ষা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে রোগের জীবাণু বাতাসে গিয়ে মিশে এবং রোগের সংক্রমণ ঘটায়।
চিকিৎসা-
Tuberculinum: বংশগত কারণে যক্ষা। অল্পতেই সর্দি কাশি, পুষ্টিকর আহার সত্বেও স্বাস্থ্যহানি, বিষন্নতা, সারাক্ষন মন মেজাজ খারাপ থাকা। ২০০- পর্যায়ক্রমে উচ্চশক্তি।
Phosphorus: লম্বাটে দেহ, সুন্দর চেহারা, হাঁটার সময় সামনে ঝুকে চলে। শীতকাতর কিন্তু ঠান্ডা পানীয় পানের ইচ্ছা- এমন ধাতুর রোগীদের যক্ষা। ৩০-২০০ শক্তি উপকারী।
Stannum Met: হার্টের সমস্যা আছে, উচ্চস্বরে কথা বললে বা হাসলে কষ্টবোধ। কাশির সাথে মিষ্টি স্বাদের শ্লেষ্মা। শেষ রাতে ঘাম হয়। ৩০-২০০ শক্তি।
Kali Iod: বদমেজাজী, গরমকাতর ও ঠান্ডা-সর্দির প্রবণতা এমন ধাতুর রোগীদের আপেক্ষিক কাশি। রাত ৩-৫টা এসময় কাশির বৃদ্ধি। ৩০-২০০ শক্তি ফলপ্রদ।
বায়োকেমিক-
Ferrum Phos, Kali Phos, Kali Sulp, Cal.Phos ঔষধগুলি একসাথে সেব্য।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন